বিশ্বনাথ প্রতিনিধি
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে সিলেটের বিশ্বনাথে স্ত্রী সাবিনা আক্তার’সহ উপজেলার পাঠাকইন এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট তবারক আলী ওরফে ইয়াবা সুমনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) ভোর ৫টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিলেট জেলা স্টেডিয়াম ক্যাম্প কমান্ডারের নেতৃত্বে সিলেট ওসমানীনগর আর্মি ক্যাম্পের আওতাধীন সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার রামপাশা ইউনিয়নের পাঠাকইন গ্রামস্থ নিজ বাড়ি থেকে তবারককে সস্ত্রীক আটক করা হয়। বিকেলে আটককৃতদের বিশ্বনাথ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।
যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে একটি মাদক মামলায় (মামলা নাম্বার জিআর ৫২/২০ইং) আড়াই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট তবারক আলী ওরফে ইয়াবা সুমন (৩৭) এবং তার সহযোগী স্ত্রী সাবিনা আক্তার (২৯)’র কাছ থেকে ৪টি বটি দা, ৫টি চাপাতি, ৩টি দা, ১টি বড় ছুরি, ১৪টি ছোট ছুরি, ১২টি সিম’সহ ৪টি মোবাইল সেট, চেক বই ১৬টি, ৩টি ডেবিট কার্ড ও নগদ ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা রামপাশা ইউনিয়নের পাঠাকইন গ্রামের মৃত আলকাছ আলীর পুত্র চিহ্নিত মাদক সম্রাট তবারক আলী ওরফে পলিথিন তবারক ওরফে ইয়াবা সুমন বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানা’সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক-চুরি, হত্যা-ধর্ষণ ও দূর্নীতি দমন কমিশন আইনে’সহ ১৬টি মামলা রয়েছে। আর তা স্ত্রী সাবিনা আক্তারের বিরুদ্ধেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তাছাড়া ইতিপূর্বে ইয়াবার বড় চালান’সহ একাধিক বার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করে ছিলেন তবারক-সাবিনা (স্বামী-স্ত্রী)।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তবারক আলী একটি মাদক মামলায় আড়াই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী এবং গত ৭ জুন বিশ্বনাথ থানার পাঠাকইন গ্রামের একটি মারামারির মামলায় তাকে (তবারক) গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আর আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। এছাড়া মাদক ব্যবসায়ী তবারকের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানা’সহ বিভিন্ন থানায় মোট ১৬টি মামলা রয়েছে। আর তার স্ত্রী সাবিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়ে ছিলো। তাই তাকে একজনের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
0 Comments