Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

সাংবাদিক সাইদুর রহমান সাঈদের সাথে বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ | দৈনিক আলোচিত বিশ্বনাথ

 



সাংবাদিক সাইদুর রহমান সাঈদের  সাথে বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ


বিশ্বনাথের সাংবাদিকতা  জগতের এক উজ্বল নক্ষত্র,  অসংখ্য সাংবাদিক সৃষ্টির এক মহান  কারিগর, নির্লোভ ব্যক্তিত্বের এক জলন্ত উদহারণ, দুর্ণীতির বিরুদ্ধে  আপোষহীন এক কলম  সৈনিক, যার লেখালেখি, সাংবাদিকতা ও সামাজিক কর্মকান্ড ছিল  দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত,  বিশ্বনাথের সকল সামাজিক - সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে ছিলো যার ভূমিকা অনন্য। বিশিষ্ট কবি ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক সাইদুর রহমান সাঈদ দীর্ঘ দিন থেকে অসুস্হ। 


তাকে দেখতে ও তাঁর শারীরিক খোঁজ খবর নিতে বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ  ২১ মে বুধবার বিকেলে  বিশ্বনাথের  রামপাশা ইউনিয়নের রহমাননগর গ্রামে তাঁর নিজস্ব বাড়ীতে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন উপজেলা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। 


এতে উপস্হিত ছিলেন, বিশ্বনাথ উপজেলা 

প্রেসক্লাবের সভাপতি  মোঃ শাহিন উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক কবি এস. পি সেবু ও কোষাধ্যক্ষ  

মোঃ আব্দুল কাইয়ুম।


ঘন্টা ব্যাপি আলোচনায়, বিশ্বনাথের সাংবাদিকতার অতীত ও বর্তমান দৃশ্যমান কিছু  বিষয়টি উত্তাপিত হয়েছে। 


২০০৪ সালে শাহিন উদ্দিনের সম্পাদনায় ১০ মার্চ 'ত্রৈমাসিক 'প্রিয়' টেংরা' টেংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন, সেদিনের তাঁর বক্তব্যরত সংরক্ষিত ছবি  প্রদর্শিত হয়েছে।  এবং

২০০৪ সালের ওই 'ত্রৈমাসিক প্রিয় টেংরায়' 

উদ্বোধনী সংখ্যায়  সাইদুর রহমান সাঈদ তিনি বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের তৎকালীণ  সভাপতি হিসাবে একটি শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছিলেন। উদ্বোধনী ওই' প্রিয় টেংরা' সংরক্ষিত  সংখ্যাটি তাঁর সামনে প্রদর্শিত হলে তিনি দেখে খুবই আনন্দিত হন। এবং অন্য একটি বিষয় পরিস্কার হয়েছে সাক্ষাতে সেদিন সেটি হচ্ছে, সাংবাদিক সাইদুর  রহমান সাঈদ যে সময় তিনি বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন সেসময় বিশ্বনাথে আর অন্য কোনো প্রেসক্লাবের তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়নি। অর্থাৎ অন্য কোনো প্রেসক্লাব দেখাযায়নি! 


সাংবাদিক সাইদুর রহমান সাঈদ এক প্রশ্নের জবাবে

জানান, ১৯৮৩ সালে সাংবাদিক রহমত আলীর নেতৃত্বে যে প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা হয়েছিল সেটি দুই এক বৎসর পরে বিলিন হয়েযায়। পরবর্তীতে ওই প্রেসক্লাবের  আর কোনো ধারাবাহিকতা থাকেনা। 


এতে সাংবাদিক সাইদুর রহমান সাঈদ  বলেন,  

অতীতে আমরা সাংবাদিকতা করেছি মানুষের কল্যাণে,

 দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা রুজির কোনো লক্ষ ছিলনা। কিন্তু বর্তমানে  বেশির ভাগই দেখাযাচ্ছে, সাংবাদিকতার মাধ্যমে অবৈধ ভাবে কার চাইতে  কে ধনী হতে পারে!  উপস্হিত  সাংবাদিকদেরকে তিনি সত্যিকার অর্থে দেশ ও জাতির কল্যাণে সাংবাদ পরিবেশনের   আহবান জানান। 


সাক্ষতে সাইদুর রহমান সাইদ বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শাহিন উদ্দিনের হাতে দুইটি বই তুলেদেন। একটি হচ্ছে, খালেদ উদ - দীন সম্পাদিত  কবি সাইদুর রহমান সাঈদ সংবর্ধনা স্মারক ও তাঁর লিখিত 'মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বনাথ' বইটি।  


সাংবাদিক সাইদুর রহমান সাঈদের জন্ম ১৯৫৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামমপাশা ইউনিয়নের রহমাননগর গ্রামে। পিতা মরহুম আব্দুল মজিদ ও মাতা মরহুমা সুন্দর বিবি। পড়াশোনা করেছেন সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে, সিলেট সরকারি কলেজ ও সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ কলেজে।


তিনি মাসিক মাকুন্দার নির্বাহী সম্পাদক, মাসিক  সিলেট দর্পণ - এর প্রধান সম্পাদক, ত্রৈমাসিক প্রগতির নির্বাহী সম্পাদক, এবং মাসিক বিশ্বনাথ দর্পণ - এর বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। 


এছাড়া তিনি দৈনিক সংবাদ - এর বিশ্বনাথ 

প্রতিনিধি হিসাবেও কাজ করেছেন কিছুদিন।

বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক পত্রিকায় লিখেছেন প্রায়। একাদিক দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক পত্রিকায় লিখেছেন নিয়মিত।


জানাগেছ, ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৩ সালে তাঁকে ডঃ মুমিনুল হক একাডেমির পক্ষ থেকে ' লন্ডন আওয়ার্ড গ্রহণ করেন। তিনি প্রায় নিয়মিত ছড়া, কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেছেন,

জাতীয় ও স্হানীয় বিভিন্ন পত্র - পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে। 


তাঁর প্রকাশিত গ্রন্হের সংখ্যা ৪টি। ক্যব্যগ্রন্হ ' সাম্যবাদী চেতনার ছায়া ' ( ২০১৩), প্রবন্ধগণ্হ' লাল সবুজ ভালোবাসার সংগ্রাম।' ( ২০১৫), কাব্যগ্রন্হ  স্বদেশের '

মাটি ঘ্রাণে জেগে ওঠে চেতনার ঢেউ'( ২০১৫), এবং

 মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রন্হ ' মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বনাথ (' ২০২০) । শুধু লেখক পরিচয়ই নয়,  একজন সাহিত্যকর্মী হিসাবে সাহিত্যকে সমাজপ্রগতির আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারেও তিনি সচেষ্ট সবসময়।


সাংবাদিকতা  বা সাহিত্যের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সফলতা অর্জন সত্ত্বেও সাইদুর রহমান সাঈদের মূল ভাবনা সমাজপ্রগতি ও  জাতীয় উন্নয়ন। তিনি বিশ্বনাথ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বিশ্বনাথ শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলন তাঁর উজ্জ্বল ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরুপ প্ল্যান বাংলাদেশ ২০১৩ সালে সাইদুর রহমান সাঈদকে ' পিএইচআর' আ্যওয়ার্ড প্রদান করে। সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য সিলেট বিবেক ২০১৬ সালে অনন্য সমাজকর্মী হিসাবে সাঈদকে সম্মাননা প্রদান করে।

Post a Comment

0 Comments